শিক্ষকের কীর্তি ! গৃহবধূকে বেঁহুশ করে ধর্ষণের অভিযোগ : নগ্ন ছবি সোশাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

19th August 2020 9:43 pm বর্ধমান
শিক্ষকের কীর্তি ! গৃহবধূকে বেঁহুশ করে ধর্ষণের অভিযোগ : নগ্ন ছবি সোশাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি


বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান )  : শিক্ষকের কীর্তি ঘিরে আলোড়ন পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি এলাকায় । অভিযোগের ভিত্তিতে কীর্তিমান শিক্ষককে গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ । এক গৃহবধূকে শীতল পানীয়ের সাথে মাদক জাতীয় দ্রব‍্য পান করিয়ে বেঁহুশ করার পর ধর্ষণের অভিযোগ । শুধু তাই নয় ওই মহিলার নগ্ন ছবি ব‍্যবহার করে তিন তিনটে ফেসবুক একাউন্ট খুলে তাকে দেহ ব‍্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত করে ব্ল‍্যাকমেল করায় অভিযুক্ত শিক্ষক । কীর্তিমান শিক্ষক শ‍্যামল কুমার দাস কে গ্ৰেপ্তার করে বর্ধমান আদালতে পেশ করলো মাধবডিহি থানার পুলিশ । ধৃতের  বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার চকভুড়া গ্রামে । ধৃতের  মোবাইল ফোন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে ৫ দিন পুলিশ হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।  জানা গিয়েছে, মাধবডিহিতে শ্যামল দাসের একটি কম্পিউটার সেন্টার ছিল। সেখানে কম্পিউটার শিখতে আসা বিভিন্ন জনকে ভালো কাজের টোপ দিয়ে  হুগলীর আরামবাগের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অশালীন কাজকর্ম করতো ।নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি মাধবডিহি থানার  কাটনাবিল গ্রামে । পারিবারিক সম্পর্কের  সুবাদে  ওই মহিলার সঙ্গে শ্যামলের পরিচয় ছিল। দুই পরিবারের লোকজনের একে অপরের  বাড়িতে যাতায়াত ছিল। বছর পাঁচেক আগে মহিলা যখন শ্যামলের বাড়িতে  গিয়েছিল তখন শ্যামলের স্ত্রী ইয়ারকির ছলে মহিলার কাপড় পরিবর্তন করার ছবি তোলে। মহিলা আপত্তি করলে শ্যামলের স্ত্রী সেই ছবি ডিলিট করেদিয়েছে বলে তখন জানায় । মহিলা সেই  কথা বিশ্বাস করেছিলেন । পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন, ঘর দেখানোর  জন্য শ্যামল  তাকে  আরামবাগের একটি  ঘরে নিয়ে যায় । সেখানে শ্যামল ওই  তাকে  ঠাণ্ডা পানীয় খেতে দেয়। ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার কিছুক্ষণ পর মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে শ্যামল তাকে  ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ।জ্ঞান ফিরলে মহিলা বুঝতে পারেন  শ্যামল তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে । মহিলা প্রতিবাদ করলে শ্যামল জানায় সে  তার নগ্ন ছবি তুলে রেখেছে । ঘটনার কথা কাউকে জানালে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও মহিলাকে  দেয় শিক্ষক শ্যামল । এরপর মহিলার নাম ও ছবি ব্যবহার করে শ্যামল  ৩টি  ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মহিলাকে  দেহ ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করে ।  অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে শ্যামল তাতে আবার মহিলার ছেলের ফোন নম্বর দিয়ে দেয় । এরপরই মহিলার কাছে বিভিন্নজনের ফোন আসতে শুরু করে।ফোনে তারা মহিলাকে  অশালীন কথাবার্তাও  বলে।   এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে মহিলা মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ধর্ষণ, ভীতি প্রদর্শন, শ্লীলতাহানি, বিষ পানীয় খাওয়ানো ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যাক্টের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শ্যামলকে  গ্রেপ্তার করে ।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।